সিলেট: রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। অথচ চাঁন রাতেই (আগের রাতেই) সিলেটে আরও চারটি ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ সুরমার একাংশ ও ফেঞ্চুগঞ্জ) ৮নং ওয়ার্ড (ওসমানীনগর), ৯নং ওয়ার্ড (বিশ্বনাথ) এবং ১৪ নং ওয়ার্ড (কানাইঘাট)। এর আগে, গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সিলেটের ১নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
বুধবার রাত (২৮ ডিসেম্বর) রাত ২টায় সিলেট জেলা সিনিয়র নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব ফরহাদ আহমদ খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই চারটি ওয়ার্ডে উচ্চ আদালতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া প্রার্থীদের বিপরীতে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আপিলের শুনানী হবে ০৫ জানুয়ারি।
যে কারণে এ চার ওয়ার্ডে পুরুষ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এতে তিন ওয়ার্ডের সদস্য পদে আরও ৩০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ৩নং ওয়ার্ডে আশিকুর রহমান মিটু ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৮নং ওয়ার্ডে সৈয়দ এনামুল হক, ৯নং ওয়ার্ডে শামসুল ইসলাম এবং ১৪নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পান। নির্বাচন কমিশনের করা আপিলের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
স্থগিত করা ওয়ার্ডের মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডে সাতজন, ৮নং ওয়ার্ডে নয়জন, ৯নং ওয়ার্ডে আটজন, ১৪নং ওয়ার্ডে ছয়জন ও ১নং ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না।
তবে এসব ওয়ার্ডের অন্যান্য (চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে অন্য ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচন যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র আরও জানায়, ৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ১শ ১০ জন প্রার্থী থাকলেও সিলেটের ১নং ওয়ার্ডে পুরুষ পদে আগেই নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচন করতে পারছেন না। নতুন করে স্থগিতের তালিকায় যোগ হলো আরও চারটি ওয়ার্ড। এই চার ওয়ার্ডের প্রার্থীরা ব্যতীত সদস্য পদে বাকি ১০ ওয়ার্ডে ৮০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
এনইউ/এসএনএস