ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভা রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভা-ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাঙামাটি: রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার। এছাড়া জেলার প্রতিটি সরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ সভায় অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, পার্বত্যাঞ্চল দেশের এক চতুর্থাংশ। এ অঞ্চল দেশের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এ অঞ্চলকে আলাদা চোখে দেখার কোনো উপায় নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব সময় বদ্ধ পরিকর। এজন্য তিনি পাহাড়ে শান্তি আনয়নের জন্য শান্তি চুক্তি করেছেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, পুরনো আইনে ভ‍ূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

জেলা পরিষদের সদস্য অংসি প্রু চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সমতলের মতো পার্বত্যাঞ্চলেও সমপরিমাণে ভূমির ক্ষতিপূরণ দেবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আইন পাস করা হয়েছে। সংসদে পাস হলে এ প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির মালিকরা চলতি আইনে তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে।

এসময় মন্ত্রী উন্নয়ন বোর্ড, ফ্যাসিলিটি ডিপার্টমেন্ট ও এলজিডি কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন কাজের সময়। টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করুন। আর মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে বিল জমা দিন। টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্ব করে জুন-জুলাই মাসে কাজ চালিয়ে বর্ষাকালের অজুহাত দেখিয়ে বিল তোলার চেষ্টা করবেন তা কখনও মেনে নেওয়া হবে না। এ ধরনের কাজে বিল আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে কাজ না করলে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছা যায় না। এজন্য কোনো উদ্যোগকে সফল করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।

সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া সংগঠগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন অতিথিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।