সিলেট: সিলেটে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। প্রায় ৩২ বছর পর সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এই ইজতেমা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁওয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন লতিপুর-খিদিরপুর এলাকায় শুরু হওয়া ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন।
১১টি খিত্তায় ডেরা টানিয়ে মুসল্লিরা অবস্থান করছেন। ইজতেমায় অংশ নিতে দু’দিন আগে পৌঁছেছেন বিদেশি মুসল্লিরাও।
প্রায় ১৫ লাখ বর্গ ফুট আয়তনের বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণসহ ইজতেমা মাঠে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য ১১ টি খিত্তা ভিত্তিক ওজু-গোসলের জন্য ১১ টি ডিপ টিউবওয়েল ও ১২টি পানির হাউজ স্থাপন করা হয়েছে।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবির পক্ষ থেকে ২টি অস্থায়ী ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৮শ’টি অস্থায়ী শৌচাগার।
একই সঙ্গে সিভিল সার্জনসহ দাতব্য সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ইজতেমা ময়দানে মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়েছে। অসুস্থ মুসল্লিদের খেদমতে রয়েছে আল মারকাজুল খায়েরি আল ইসলামির অ্যাম্বুলেন্স। রেডক্রিসেন্টের তরফ স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে।
তাবলিগ জামায়াতের সর্ববৃহৎ এই আয়োজনের নিরাপত্তার জন্য ইজতেমার ময়দানে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থাকছে চেক পোস্ট, পিকেট পার্টি, খিত্তা ভিত্তিক পার্টি, সাদা পোশাকের পুলিশ। এছাড়া র্যাব সদস্যরাও স্ট্যান্ডবাই ডিউটি করবেন জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা বাইনোকুইলারের মাধ্যমে পুরো এলাকার ওপর নজরদারি রেখেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে একটি ক্যাম্প, কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা ছাড়াও কয়েকটি উপ-কমিটিও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এনইউ/আরআই