ঢাকা: মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের দুই অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে আগেই। রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ ও ইস্কাটন থেকে ওয়্যারলেস (মৌচাক ক্রসিং) পর্যন্ত ফাইওভারের এক কিলোমিটার অংশে যানবাহন চলছে আগে থেকেই।
তেজগাঁও-পান্থপথ লিংক রোড হয়ে সোনারগাঁও হোটেলের কাছ থেকে মাতিরঝিল মোড় পর্যন্ত চলছে ছয় কিলোমিটারের কাজ চলছে এখন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মগবাজার থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও মগবাজার থেকে শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভারের কলামের কাজই শেষ হয়নি। মগবাজার মোড়েও চলছে কলাম ঢালাইয়ের কাজ। এতে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব অঞ্চল দিয়ে চলাচল করা মানুষ ও এলাকাবাসীকে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের দাবি, প্রকল্পের মোট কাজ ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গেছে। জুন ২০১৭ সালের আগেই প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।
এ প্রসঙ্গে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, জুন ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ আছে। ইতোমধেই প্রকল্পের কাজ ৮৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করছি সামনে ছয় মাসের আগেই কাজ শেষ করতো পারবো। কিছু স্থানে ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।
রাজারবাগ-শান্তিনগরে এখনও কলামের কাজ শেষ হয়নি, ৬ মাসে হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সেজন্য আমাদের হাতে ছয় মাস সময় আছে। এই সময়ে শতভাগ কাজ শেষ করবো।
প্রথমে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১১ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রথম ধাপে প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ছিল মাত্র ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে তা ৭৭২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ালো ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা।
বর্ধিত সময় ও ব্যয়েও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে তবুও সংশয় থেকেই যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমআইএস/এএ