শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কর্ত্তিমারী বাজারে গণেপিটুনির স্বীকার হন আজাদ। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের ছেলে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রুহানী বাংলানিউজকে জানান, আজাদ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। দুপুরে তাকে ধনারচর গ্রামে দেখতে পান স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয় জনগণ তাকে ধরে কর্ত্তিমারী বাজারে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আজাদের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মুক্তিযোদ্ধা আখের আলীর ছেলে শাখাওয়াত হোসেন হত্যা এবং অপহরণ, ছিনতাই ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জামালপুর জেলার দেওয়ানঞ্জ থানায়ও একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি এলাকায় ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এজি/এসআই