ঢাকা: স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর নিজস্ব পেলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ে নির্মিত এ ‘নির্বাচন ভবন’ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৭ সালে ২ একর ৩৬ শতাংশ জমি নির্বাচন কমিশনকে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়। ২১৩ কোটি ৩ লাখ ব্যয়ে এ ভবন নির্মাণের কাজ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পূর্বের কিছু স্থাপনা সরাতে দেরি হওয়ায় ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে।
ইলেকশন রিসোর্স সেন্টার (ইআরসি) নামে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ইসির নিজস্ব ভবনটির দু’টি অংশ রয়েছে। যার একটি অংশ হচ্ছে ১২ তলা বিশিষ্ট ইটিআই (নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) ভবন। অন্যটি হচ্ছে ১১ তলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন-বিইসি ভবন। গত নভেম্বরে ইটিআই অংশটির উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। ইতোমধ্যে ইটিআই ভবনে ঢাকা জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সরিয়ে আনা হয়েছে।
সুদৃশ্য ভবনটির চত্বরে ভাস্কর মৃণাল হকের তৈরি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর দু’টি ভাস্কর্য রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বিইসি ভবনে দু’টি বেজমেন্ট, অগ্নি প্রতিরোধক ও সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
দু’টি ভবনের একটিতে সারা বছর নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানে রয়েছে আবাসিক সুবিধা। অন্য ভবনটিতে নির্বাচন কমিশনারদের কার্যালয়। যেখানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ও থাকবে।
পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ছিলো ঢাকার মোমেনবাগে। ১৯৭১ সালে মে-জুন মাসে মুক্তিযোদ্ধারা প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ করে। এরপর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় ইসি কার্যালয়। তখন থেকে পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লক ভাড়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন তার কাজ পরিচালনা করছিলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
ইইউডি/এটি