ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক, সম্পাদক ফরিদা

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক, সম্পাদক ফরিদা জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক, সম্পাদক ফরিদা/ ছবি: সুকুমার সরকার-বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির ২০১৭-১৮ সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। তার নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমীন।

বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এ পদে টানা দুই মেয়াদে নির্বাচিত হলেন। আর ফরিদা ইয়াসমীন হলেন প্রেসক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী সাধারণ সম্পাদক।

জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচনে এবার তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ প্যানেল দিলেও দু’টি প্যানেল দেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিকরা। ছিলেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও।


মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেল নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। ১৭ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্য পদের মধ্যে এ প্যানেলের প্রার্থীরা ১৪টিতেই জয়লাভ করেছেন। বিএনপির একাংশের প্যানেল থেকে যুগ্ন সম্পাদক পদে ১ জন ও সদস্য পদে ১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি সদস্য পদটিতে জিতেছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।  


ভোট গণনা শেষে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সোয়া সাতটার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।   এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ২১৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। একটি ভোট বাতিল হয়।

সভাপতি পদে ৬৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থী এক প্যানেলের এম এ আজিজ ২৭৯ ভোট ও অন্য প্যানেলের খোন্দকার মনিরুল আলম ১২০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

সাধারণ সম্পাদক পদে ফরিদা ইয়াসমীন জিতেছেন ৪৩৯ ভোট পেয়ে। এ পদে বিএনপিপন্থী দুই প্যানেলের হয়ে কাদের গণি চৌধুরী ৩৫০ ভোট ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী ২৮২ ভোট পেয়েছেন।

সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ সভাপতি পদে শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে সাইফুল আলম ৮০৭ ভোট ও আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া ৫৭০ ভোট পেয়ে।

সিনিয়র সহ সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী দু্’টি প্যানেলের নূরুল আমিন রোকন ১৮৩ ভোট ও মুহম্মদ রুহুল কুদ্দুস ৬২ ভোট পান। সহ সভাপতি পদে সদরুল হাসান ২৩৯ ভোট ও বর্তমান সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী ১৫৬ ভোট পান। এ পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোকাররম হোসেন পেয়েছেন ৪৪ ভোট।

যুগ্ম সম্পাদকের দু’টি পদের একটিতে শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেলের শাহেদ চৌধুরী (৬২৭ ভোট) নির্বাচিত হলেও অপরটিতে জিতেছেন বিএনপিপন্থী ইলিয়াস খান (৪৫২ ভোট)। এ পদের অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেলের মো. আশরাফ আলী ৪৩৯ ভোট এবং বিএনপিপন্থী নাজমুল আহসান ২৪০ ভোট, জহিরুল হক রানা ৭৭ ভোট ও আবদুল গাফফার মাহমুদ ৭০ ভোট পান।

কোষাধ্যক্ষ পদেও শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেলের কার্তিক চ্যার্টাজি ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থী কাজী রওনাক হোসেন ৩৯২ ভোট ও সরদার ফরিদ আহমদ ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।

১০টি সদস্য পদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেল থেকে নির্বাচিত আটজন হলেন- শ্যামল দত্ত (৫৭৪ ভোট), কুদ্দুস আফ্রাদ (৫৩৫ ভোট), রেজোয়ানুল হক রাজা (৪৮৮ ভোট), মোল্লা জালাল (৪৫৯ ভোট), শামসুদ্দিন আহমেদ চারু (৪৫২ ভোট), শাহনাজ বেগম (৩৯৯ ভোট), কল্যাণ সাহা (৩৭৮ ভোট) ও হাসান আরেফিন (৩৬০ ভোট)।   স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঈনুল আলম (৫১১ ভোট) এবং বিএনপিপন্থী হাসান হাফিজ (৪২৩ ভোট) জিতেছেন সদস্য পদে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬/আপডেট:২০৩০
এসএস/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।