ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিডিএ আইনে বাড়লো জেল-জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
সিডিএ আইনে বাড়লো জেল-জরিমানা মন্ত্রিসভার বৈঠক/ফাইল ছবি

ঢাকা: জেল-জরিমানার মাত্রা বাড়িয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আইন, ২০১৬’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
 
মন্ত্রিসভা ‘হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউট আইন, ২০১ ‘এবং ‘বাংলাদেশ ভেটিরিনারি কাউন্সিল আইন, ২০১৬’ এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।


 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান আমলের আইন পরিবর্তন করে ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৬’ বাংলায় পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজশাহী ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের মতো এ আইনও যুগোপযোগী করা হয়েছে।
 
নতুন আইনে জেল-জরিমানা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চেয়ারম্যান-সদস্য বা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো পদে বহাল থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করলে শাস্তি হবে অনধিক দু’বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
 
‘কর্তৃপক্ষ স্থাপিত সীমানা প্রাচীর, দেয়াল, খুঁটি ইত্যাদি অপসারণ করলে ২শ টাকা থেকে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। ’
 
এছাড়া স্থাপনার জন্য চুক্তি সাক্ষর হওয়ার পর নোটিশ দিয়েও দেয়াল বা দালানের অপসারণ না করলে শাস্তি হবে। পাকা দেয়ালের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ও পাকা নয় এমন দেয়ালের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
 
আর মাস্টার প্ল্যান ভায়োলেট করে কোনো জমি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আগের আইনে প্রথম দিন অনূর্ধ্ব এক হাজার টাকা ও প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জরিমানার বিধান ছিল।     
 
প্রতিষ্ঠান প্রধানের পরিচালকের পদকে আপগ্রেড করে ‘মহাপরিচালক’
১৯৭৭ সালের সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বাংলায় পরিবর্তন করে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৬ হিসেবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।  
 
পরিবর্তনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পরিচালকের পদকে আপগ্রেড করে ‘মহাপরিচালক’ করা হয়েছে।
 
এছাড়া কমিটির গঠন প্রক্রিয়া একটু রি-অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিচালনা পরিষদে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী (গৃহায়ন ও গণপূর্ত) যিনি দায়িত্বে থাকবেন তিনি চেয়ারম্যান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব হবেন ভাইস-চেয়ারম্যান।
 
এই কমিটি হবে ২০ সদস্য বিশিষ্ট, তারা দু’বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। কমিটি বছরে দু’বার সভা করবে।
 
প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো হলো, ইমারতের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ ও উপকরণ শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উপর কারিগরি, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও গবেষণা পরিচালনা। এছাড়া দেশজ নির্মাণ উপকরণের প্রাপ্যতা, উন্নয়ন ও গবেষণা, বহুল প্রচলিত নির্মাণ উপকরণের নতুন ও উন্নত ব্যবহার উৎসাহিতকরণ, গৃহায়ন খাতে ভূমিকম্প সহনীয় নির্মাণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন, স্বল্প খরচে নির্মাণ ডিজাইনসহ ১৭টি কাজ দেওয়া হয়েছে।
 
তবে গবেষণা সংক্রান্ত কাজই হলো মূল কাজ।     
 
আর ইনস্টিটিউটের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হবেন মহাপরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদ মনোনীত চারজন প্রতিনিধি।
 
‘বাংলাদেশ ভেটিরিনারি কাউন্সিল আইন, ২০১৬’
১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ আদালতের নির্দেশনায় বাংলায় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 
তিনি জানান, ভেটেরিনারি কাউন্সিল এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ১৫০ জন ভেটিরিনারি সার্জনকে গ্রাজুয়েটকে নিবন্ধন দিয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। পেশাদারী এ প্রতিষ্ঠানকে আগের গঠনের ফরমেশনে আনা হয়েছে।  

**মন্ত্রিসভায় তিন আইনের খসড়া অনুমোদন
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।