ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা কার্যক্রমে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করার আহ্বান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
রোহিঙ্গা কার্যক্রমে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করার আহ্বান সংবাদ সম্মেলন-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নেওয়া কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে 'রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' প্রতিবেদনের উপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)।

 

সুলতানা কামাল বলেন, প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয় জনগণের যে সহানুভূতি ছিলো তা কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় জনগণ থেকে রোহিঙ্গার সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। বাজার মূল্যবৃদ্ধি আর শ্রমবাজারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এতে আরও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণের স্বার্থ ঠিক রেখে রোহিঙ্গাদের কাজে নিয়োগ দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য নেওয়া কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের সম্মতি নিতে হবে। তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে।

উদাহারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত প্যারামেডিক কর্মীর অভাবে ক্যাম্পগুলোতে সন্ধ্যার পর চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্যারামেডিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে রোহিঙ্গাদের পরিপূর্ণ চিকিৎসার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও কর্মসংস্থান হবে।

তিনি বলেন, প্রথম দিকের তুলনায় খাদ্য সরবরাহ কমে গেছে। তবে এখনও পর্যাপ্ত রয়েছে। চাল-ডাল সরবরাহ বেশি হওয়ায় রোহিঙ্গারা তাদের বাজারে বিক্রি করে অন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনছেন।  

নারী ও শিশুদের তীব্র পুষ্টিহীনতা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিশেষ করে নারী ও শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে। টয়লেট ও টিউবওয়েল একসঙ্গে হওয়ায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। আবার টয়লেট দূরে হওয়ায় নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।  

শরণার্থী চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর না করা 'লজ্জার' বলে উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতদিন পার হলেও আমরা এখনও শরণার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষর করিনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। শরণার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষর করা এই মুহূর্তে অনেক প্রয়োজন।  

রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচদিনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে এসএএইচআর-এর চেয়ারম্যান সুলতানা কামালের নেতৃত্বে আরও অংশ নিয়েছেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ভারতের সাংবাদিক ভারত ভূষণ, মালদ্বীপের মানবাধিকার কর্মী জিহান মাহমুদ, নেপালের মানবাধিকার কর্মী রাজেন্দ্র ঘিমিরি ও শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার কর্মী দিকশিয়া ইলাংগাসিংহে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।