ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওবায়দুল কাদের আসছেন, তাই!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
ওবায়দুল কাদের আসছেন, তাই! পানি সেচে বের করে দেওয়া, সংস্কার আর চুনকাম করা হচ্ছে সাতক্ষীরার সড়ক-মহাসড়কগুলো। ছবি: বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: ওবায়দুল কাদের আসছেন, তাই চলছে তোড়জোড়| কোথাও সড়কে জমে থাকা পানি সেচ করছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মচারী, কোথাও চলছে জোড়াতালি দিয়ে মেরামতের কাজ। লোকে দেখে হাসছেন। আর বলছেন, এতোদিন পরে বিভাগটির ঘুম ভাঙলো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাতক্ষীরা সফরকে ঘিরে এ দৃশ্য এখন জেলাজুড়ে।

এ দৃশ্য দেখতে অবশ্য সাতক্ষীরাবাসীরও আকাঙ্ক্ষা ছিল- ‘ওবায়দুল কাদের যেন একবার সাতক্ষীরায় আসেন’।

মানুষের এ আকাঙ্ক্ষার কথা নিয়ে বাংলানিউজে ফলাও করে ‘মাননীয় ওবায়দুল কাদের, একবার সাতক্ষীরায় আসুন’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।    

** ‘মাননীয় ওবায়দুল কাদের, একবার সাতক্ষীরায় আসুন’

দিনভর সড়কগুলোকে যাতায়াতের উপযোগী করছেন সওজের কর্মীরা।                                          ছবি: বাংলানিউজওই সংবাদে যেসব চাওয়ার কথা উঠে এসেছিল, সেসব দৃশ্যই এখন দেখা যাচ্ছে সাতক্ষীরার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে।

জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক হারুন-উর-রশীদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালের ফ্লাইটে দলীয় সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে সাতক্ষীরায় আসছেন ওবায়দুল কাদের। বেলা ১১টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি। দুপুর আড়াইটায় সার্কিট হাউজে দলীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করবেন।

সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের সাতক্ষীরা পৌরদিঘির পাড়ে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভার ট্রাক নিয়ে সড়ক সংস্কারে ব্যস্ত সওজের কর্মচারীরা।

তাদেরই একজন বলেন, ‘ফাটাকেস্টো আসছেন। এখন কথা বলার সময় নেই। একটু পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে। এখনও অনেক কাজ’।

সাতক্ষীরা-যশোর সড়কেও কোথাও কোথাও জোড়াতালির সংস্কার আর কোথাও কোথাও পানি সেচ দিয়ে শুকাতে ব্যস্ত সওজের কর্মচারীরা।

এ নিয়ে সরগরম ফেসবুকও। অনেকেই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে কাজের তোড়জোড় দেখছেন আর ছবি তুলে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

ইয়ারব হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাড়ি পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। তাইতো আজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা রাস্তার পানি সেচে পরিষ্কার করছেন’।

পথচারী আবু জাফর বলেন, ‘সব সময় শুনি, বরাদ্দ নেই। এখন হঠাৎ এতো বরাদ্দ কোথা থেকে এলো? এ টাকা দিয়ে আগেই কাজ করলে তো মানুষ একটু দুর্ভোগ থেকে বাচতেন’।

বেহাল সড়কে চলাচলে সাতক্ষীরাবাসীর তিন বছরের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।  ছবি: বাংলানিউজসাতক্ষীরা-যশোর, সাতক্ষীরা-খুলনা, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ-শ্যামনগর-মুন্সীগঞ্জ, সাতক্ষীরা-আশাশুনিসহ সাতক্ষীরা পৌরসভার সবগুলো সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে গত তিন বছর ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন সাতক্ষীরাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।