শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে এ চিত্র পাওয়া যায় অধিকাংশ গাড়ির কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে।
কাউন্টার থেকে কিছু বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সরকারি চাকরিজীবী জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শ্যামলী পরিবহনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গাড়ি যখন আসবে তখন ছেড়ে যাবে।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে কথা হয় মাস্টার শফিকুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের গাড়িগুলো রাস্তায় আটকে আছে। সকালের একটা গাড়ি রংপুর ছেড়ে গেছে। তাও গাড়িটা ছিল রাতে। এখন রাস্তায় যদি গাড়ি আটকে থাকে তাহলে আমাদের কি করার আছে। আমরা তো আর ইচ্ছে করে গাড়ি আটকে রাখিনি।
এসআর ট্রাভেলসের যাত্রী হুমায়রা আক্তার যাবেন বগুড়া। তিনি বলেন, সকাল ৮টায়ে গাড়ি ছিল, এখন ১১টা বাজে। গাড়ি আসার কোনো নাম নেই। কখন যাবো বাড়িতে। কাউন্টারে কথা বলতে গেলে তারাও রেগে যান। এখন আমাদের এই কষ্টের কথা কার কাছে বলবো।
যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কেন করছেন জানতে চাইলে এসআর কাউন্টারের মাস্টার দুলাল বলেন, ৪ দিন ধরে যানজট। কিন্তু আজ (শুক্রবার) যানজট অনেক বেশি। হাঁটুভাঙা, চন্দ্রায় রাস্তার কাজ চলছে। এ কারণে গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতুর পর থেকে পুরো যানজটে আটকা। শুধু আমাদের গাড়ি নয়, প্রায় সব গাড়ি যানজটে আটকে রয়েছে। যাত্রীদের বেশি কথায় কতোক্ষণ ঠিক থাকা যায়।
এ বিষয়ে কল্যাণপুর হানিফ কাউন্টারের সিনিয়র মাস্টার ইকবাল বলেন, সকালে আমাদের বগুড়ার ৬টার গাড়িটা শুধু গেছে। সেটাও গেছে সকাল সাড়ে ৯টায়। এরপর বাকি আর কোনো গাড়ি এখনো কাউন্টারে আসেনি। তাই যাত্রীদেরও বসে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি করবো বলেন, রাস্তার সমস্যা, আমাদের তো সমস্যা নেই। সরকারকে বলেন রাস্তা দ্রুত ঠিক করতে। আমরা আরও ভালো সার্ভিস দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
এসজে/এএ