ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তুই কি ওবায়দুল কাদের, যা বলবি তাই হবে?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
তুই কি ওবায়দুল কাদের, যা বলবি তাই হবে? লাব্বাইক পরিবহনে যাত্রীর সঙ্গে সুপারভাইজারের বচসা

সাভার থেকে: গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থামছেই না। আইনের তোয়াক্কা না করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো। আর বাড়তি ভাড়া আদায়ের কারণে প্রতিনিয়ত গণপরিবহনের শ্রমিকদের যাত্রীদের ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা কথা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তার কথার তোয়াক্কা করছে না গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে লাব্বাইক (প্রা.) লিমিটেডের একটি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও সুপারভাইজারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সাভার ইপিজেড থেকে নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড পর্যন্ত রুটে চলাচল করে এ পরিবহনটি।

রাতে ঢাকা থেকে সাভার রুটে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছিলেন বাসের সুপারভাইজার। গাবতলী থেকে লাব্বাইক পরিবহনে প্রায় ২০-২৫ জন যাত্রী ওঠেন। সবার কাছে ২৫ টাকা করে ভাড়া দাবি করেন সুপারভাইজার। গাবতলী থেকে হেমায়েতপুর জোড়পুরগামী এক যাত্রীর কাছ থেকে ২৫ টাকা ভাড়া চেয়ে বসেন তিনি। অথচ এই পথের দূরত্ব মাত্র ছয় কিলোমিটার। এত স্বল্প দূরত্বে ২৫ টাকা দিতে আপত্তি জানান যাত্রীরা।

অথচ বাসের সুপারভাইজার বলেন, গাবতলী থেকে বলে-কয়ে বাসে ওঠানো হয়েছে। বাসে উঠলেই ২৫ টাকা দিতে হবে।

এমন সময় এক যাত্রী বাসের সুপারভাইজারকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘তুই কি ওবায়দুল কাদের, যা বলবি তাই হবে?’

ওই যাত্রী সুপারভাইজারকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, আমরা প্রতিদিন ১০ টাকায় যাতায়াত করি। ১০ টাকার কানা কড়ি বেশি দিতে পারবো না। আমরা তো আর টাকা চুরি করে আনি নাই যে, তুই চাইবি আর পকেট থেকে বের করে দেবো।
 
এরপরে বাসের সুপারভাইজর বলেন, তাহলে ১৫ টাকা দেন।

ওই যাত্রী নিজেকে শিক্ষার্থী দাবি করে ১০ টাকা ভাড়া দেন। তবে এই ভাড়া নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন সুপারভাইজার। এরপরেই যাত্রী ও সুপারভাইজরের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। তবে অন্যান্য যাত্রীদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বাসের ওই যাত্রী সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব হাসনাত বলেন, আমরা প্রতিদিন ১০ টাকায় যাতায়াত করি, অথচ ভাড়া চায় ২৫ টাকা। এতো বেশি ভাড়া কীভাবে হয়? আমরা স্টুডেন্ট বলে উঠি, অথচ বাসের কন্ডাক্টর বলে শুক্রবার হাফ ভাড়া নেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ছাত্র হিসেবে যদি শুক্রবার গণ্য না করা হয় তাহলে শুক্রবার আমাদের পরিচয় কী? ও কি (বাসের সুপারভাইজার) ওবায়দুল কাদের, একটা কথা বলে দিলো আর আমরা মাইনা নেবো!
 
এরমধ্যে আবার ভাড়া নিয়ে আরেক যাত্রী ও সুপারভাইজারের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত যাত্রী তার গন্তব্যস্থলে নেমে যান। কিন্তু বাসে রয়ে যায় বাকবিতণ্ডার রেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।