ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে চলছে বিজয়ের ৪৬ বছর উদযাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
রাজশাহীতে চলছে বিজয়ের ৪৬ বছর উদযাপন রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদমিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল; ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে চলছে বিজয়ের ৪৬ বছর উদযাপন। রাজশাহীবাসী যেমন মেতেছেন বিজয়ের অপার আনন্দে, তেমনিভাবে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন একাত্তরের সূর্যসন্তান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই রাজশাহীর প্রতিটি শহীদমিনারে মানুষের ঢল নামে।

রাজশাহী মহানগরের ভুবনমোহন পার্ক শহীদমিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদমিনারে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদমিনারে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদমিনারে ভোর ৬টায় প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান। এরপর জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম. খুরশীদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মাহবুবর রহমান, জেলার পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারও।

এছাড়াও এখানে পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ এবং জেলা আনসার, বনবিভাগ, বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও ডাকবিভাগসহ বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদমিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

পরে সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়া এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে করা হয় বিশেষ মোনাজাত।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আলোকসজ্জা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রদর্শন করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনও দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এছাড়া রোববার বিকেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্তসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্বর্ধনা জানাবে সিটি করপোরেশন।

এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওয়ার্ড কার্যালয়গুলো থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বাজানো হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সব সরকারি হাসপাতাল, শিশুসদন ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবেশন করা হচ্ছে উন্নতমানের খাবার।

বিকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।