ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালের ৬ রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
বরিশালের ৬ রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ বরিশাল ও ঝালকাঠি মিনিবাস মালিক সমিতির দ্বন্দে ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল ও ঝালকাঠি মিনিবাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল থেকে ছয় রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল নগরের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়েও যায়নি। কিংবা ঝালকাঠি থেকে রুপাতলীর উদ্দ্যেশ্যে কোনো বাস ছেড়েও আসেনি।

একই অবস্থা বিরাজ করছে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, খুলনা, বাগেরহাট রুটের যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে।

তবে বরিশাল রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠির রায়াপুর নামক স্থান থেকে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ঝালকাঠি শহরসহ বিভিন্ন রুটে বাস চালাচল করছে।

ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাদুর চৌধুরী বাংলানিউজকে  জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই ছয় রুটে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বাগেরহাট সমিতির বাস সমন্বয় করে চলাচল করলেও বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি সমিতির কোনো বাস চলতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলাধীন ৮ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। ওই ৮ কিলোমিটার সড়ক বরিশাল ও পটুয়াখালী মালিক সমিতি ব্যবহার করলেও ঝালকাঠি মালিক সমিতির কোনো বাস চলতে দেওয়া হয় না।
বরিশাল ও ঝালকাঠি মিনিবাস মালিক সমিতির দ্বন্দে ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীরা।  ছবি: বাংলানিউজ
তাই ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আল্টিমেটাম অনুযায়ী সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে তারা মাঠে নেমেছেন। যার প্রেক্ষিতে বরিশাল মালিক সমিতির কোনো বাস ঝালকাঠিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বরিশালেও কোনো বাস পাঠানো হচ্ছে না।  

তবে যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে আঞ্চলিক মহাসড়কের বরিশালের শেষ প্রান্ত (রুপাতলী থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে) ঝালকাঠির-রায়াপুর থেকে বাস চালনা করছে বলে দাবি করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাদুর চৌধুরী।  

অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের নলছিটি উপজেলাধীন দপদপিয়া জিড়ো পয়েন্টে ঝালকাঠি বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা সড়ক অবরোধ করতে না পারলেও বরিশাল মালিক সমিতির একটি গাড়ির চালকসহ ২ স্টাফকে মারধর করে। পরে বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার আশ্বাসে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে ঝালকাঠি বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ওইস্থান ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাদুর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, তারা সেখানে গেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার আশ্বাসে কোনো অপ্রিতীকর ঘটনা ছাড়াই তারা ফিরে আসেন।  

বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরিশালের ডিআইজি অফিসে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রুপাতলী থেকে ঝালকাঠি কিংবা ঝালকাঠি থেকে রুপাতলীতে কোনো বাস চলাচল করেনি। এর ফলে রুপাতলী থেকে বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ছয় রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, সকালে ঝালকাঠির লোকজন দপদপিয়া জিড়ো পয়েন্টে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা আর করতে পারেনি। তবে বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশালী শহরগামী ১৯৩ নম্বরের একটি বাসের চালক লাল, সুপারভাইজার সালাম ও হিমুকে মারধর করা হয়। যদিও এ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। আর বুধবারের বৈঠকের পর যদিও এ অবস্থার সমাধান না হয়, তবে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।