ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে দিতে চায় ইন্দোনেশিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে দিতে চায় ইন্দোনেশিয়া ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে গৃহহারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার নজির স্থাপন করেছে। এজন্য বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে বলে ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকার ড. ফাদলি জোনকে জানালেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এ সময় ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকার জানান, তাঁর দেশের সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।  রোহিঙ্গা শিবিরে চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসক প্রেরণের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে দিতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া।

এ ব্যাপারে তার সরকারের পক্ষ থেকে আগ্রহের কথা জানান ড. ফাদলি জোন।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যালয়ে ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকার ড. ফাদলি জোনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দেশটির সংসদ সদস্য নূরমানসিয়া  তানজুং ও লেদিয়া হানিফা আমালিয়া।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ইস্যু, এ ইস্যুতে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের ভূমিকা, ইন্দোনেশিয়া সরকারের পাশাপাশি সংসদের সমর্থন,  দু’দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ইস্যুতে গৃহীত পদক্ষেপ, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে গৃহীত পদক্ষেপ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়া সরকার ও বিশেষ করে সংসদের ভূমিকার প্রশংসা করে স্পিকার এ ইস্যুতে আরও সহযোগিতা কামনা করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের বিবরণ দিয়ে স্পিকার বলেন, এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো সহযোগিতা কামনা করেন।

স্পিকার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এই প্রস্তাবগুলো যৌক্তিক এবং এর মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।

এ সময় ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি স্পিকার  ড. ফাদলি জোন বাংলাদেশ সম্প্রতি অত্যন্ত সফলভাবে আইপিইউ ও সিপিএ সম্মেলন সমাপ্ত করায় স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর সরকার ও সংসদের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তিনি রোহিঙ্গাদের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন  করবেন মর্মে স্পিকারকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।