সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে উপশহর এলাকার একটি মোটর গ্যারেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। পরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে রাস্তায় থাকা কেমিক্যাল পদার্থ বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন লাগে।
এরপর স্থানীয় একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও কয়েকটি ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে চার-পাঁচটি ট্রাক পুড়ে ভস্মিভূত হয়। আগুনে পুড়ে মারা যান দুইজন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, দগ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর তাদের মৃত্যু হয়।
অগ্নিকাণ্ডে আহত আরও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>>
** যশোরে কেমিক্যালবাহী কাভার্ড ভ্যানে আগুন
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যশোর ছাড়াও ঝিকরগাছার একাধিক ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে দাহ্য পদার্থের কারণে আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে তুলনামূলক সময় লাগে।
এদিকে আগ্নিকাণ্ডের পরপরই রাজধানী ঢাকা যাওয়ার অন্যতম এই সড়কে অগ্নিকাণ্ডের কারণে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও কলকাতা থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে আসা বাসের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রুটের উভয়পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
তবে আগুন নেভানোর পর রাত ১১টার পর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাস্তার দুই পাশেই দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
ইউজি/এমএ