অর্জুনের মোবাইলের ওই ছবির সাহায্যেই পুলিশ খুঁজে বের করেছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রনি (১৩) হত্যার দুই আসামিকে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছাত্র রনির দরিদ্র বাবা অটোভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। ছুটির দিনে বাবা উজ্জল হোসেনকে একটু অবসর দিয়ে ভ্যান চালকের আসনে বসতো স্থানীয় আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রনি।
অন্যদিনের মতো গত রোববারও (২৪ ডিসেম্বর) অটোভ্যান নিয়ে বের হয় সে। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুজির পরও রনিকে পাওয়া যায়নি। তখন বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
পরে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের দরি জগন্নাথপুর শ্মশানঘাটের জঙ্গল থেকে রনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মরদেহের গলায় গামছা পেঁচানো ছিলো।
এদিকে সাঁথিয়া বাজারে অর্জুন নামের এক মেকারের অটোভ্যান কেনার খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায় রনির পরিবার। পুলিশ অর্জুনের মোবাইলে ধারণ করা বিক্রেতাদের ছবি নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই সহোদরকে আটক করেন।
আটকরা হলেন-আতাইকুলা থানার তৈলকুপা গ্রামের আবুল হোসেন এর ছেলে আসাদুল (৩৫) ও আশরাফুল (৩০)।
তারা স্বীকার করেছেন, সাঁথিয়া যাওয়ার কথা বলে অটোভ্যান ভাড়া করে পথিমধ্যে শ্বাসরোধ করে রনিকে হত্যা করা হয়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আর ছেলে হত্যার ঘটনায় নিহত রনির মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এসআইজে/এমএ