মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কলাতলি, মুশুরী ও বলাইখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পিতলগঞ্জ এলাকার আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে আমার মেয়ে লাকি আক্তারকে কলাতলি এলাকার মৃত করিমের ছেলে সাবিকুলের সঙ্গে বিয়ে দেই।
অপর ঘটনায় মুশুরী এলাকার স্মৃতি রাণী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার অভনী দেবনাথের ছেলে পলাশ দেবনাথের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে পলাশ আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছিলেন। এ টাকা না পেয়ে পলাশ প্রায়ই আমাকে নির্যাতন করতেন। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ফের পলাশ আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমি টাকা দিতে পারব না বলি। এতে তিনি আমাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে পলাশ আমার বাবার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে যান।
অপরদিকে গৃহবধূ শিল্পী খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, এক বছর আগে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার জঙ্গলবাড়ি সুইটুটা এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়েতে তাকে দেড় লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেয় আমার পরিবার। পরে আমরা রূপগঞ্জ উপজেলার বলাইখা এলাকার লোকমান হোসেনের বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করি। সম্প্রতি শামীম আমার বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। কিন্তু এ টাকা দিতে না পারায় মঙ্গলবার শামীম আমাকে পিটিয়ে আহত করেন।
পৃথক ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কলাতলিতে গৃহবধূর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এছাড়া মুশুরী ও বলাইখা এলাকার ঘটনার ব্যাপারেও আমরা অভিযোগ পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
টিএ