মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত নজরুলের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য, সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নজরুলকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, খুনিদের কোনো দল নাই। নজরুল হত্যার প্রায় এক মাস পার হয়ে গেলেও মূল আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। খুনিরা যে দলেরই হোক না কেন তারা রেহাই পাবে না। এজন্য যেখানে যা করা প্রয়োজন আমি তাই করবো, যেখানে যেতে হয় সেখানেই যাবো।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিন, গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মোহাম্মদ শাহ জাহান, নাগেরপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মহসিন সরদার, সামন্তসার ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম বেপারী, নাগেরপাড়া সাবেক ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম কাজী, নাগেরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও নাগেরপাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বেলায়েতসহ স্থানীয় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ভদ্রচাপ গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী মুন্সীর ছেলে নজরুলকে (৫০) ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড় ৭টার দিকে নাগেরপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় সঙ্গে থাকা রতন পেদা ও তাজিম মৃধা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দৃর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহত নজরুলের মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে তার আপন ছোট চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মান্নান মুন্সীকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে গোসাইহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার হলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
আরবি/