হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বনপাড়া পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল হোসেন মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ৯টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাত সাড়ে ৮টার সময় নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্বে) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে পেয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্ট রিট পিটিশন নম্বর ১৮৫৪৭/২০১৭ এর গত ১৪ ডিসেম্বর তারিখের আদেশে আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বনপাড়া পৌর নির্বাচনে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আটুয়া ঈদগাহ মাঠে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রটির কার্যকারিতা আদেশের তারিখ হতে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে অন্য কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের কোনো বাধা নেই।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বনপাড়া পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য নবগঠিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। তাই আটুয়া ঈদগাহ মাঠে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
কিন্তু গোরস্থানকে ঈদগাহ মাঠ হিসেবে দেখিয়ে সেখানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার অভিযোগে গোরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মৃধা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আটুয়া অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণের ওপর ৩ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এ আদেশ পেয়ে নির্বাচন কমিশন ওই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আটোয়া ও গুড়ুমশৈল এই দুই গ্রাম মিলে বনপাড়া পৌরসভায় নতুন ১২ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত হয়। এখানে মোট ভোটার ১ হাজার ৭৫৭ জন। এরমধ্যে আটোয়া গ্রামে ১ হাজার ১৬৭ জন এবং গুড়ুমশৈল গ্রামে ৫৮১ জন ভোটার রয়েছে। এই ওয়ার্ডে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচন অফিস আটোয়া গোরস্থানকে ঈদগাহ মাঠ দেখিয়ে সেখানে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এছাড়া গোরস্থানের এক লাখ টাকা আত্মসাতকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরআর