মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর কবরস্থানের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত কেতু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের এক পরিদর্শকসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মোস্ট ওয়ানটেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা কেতুকে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল। সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাতে আনা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস (অপারেশন) জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানাতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কেতু তার অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান দেন। তার দেওয়া তথ্যমতে পুলিশের একটি দল রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়। পুলিশের দাবি কেতুকে নিয়ে পুলিশের দলটি রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদাহ সড়কের ভালাইপুর মোড়ের একটি কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কেতুর সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে।
বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ হেফাজতে থাকা কেতুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ১টি দেশীয় রিভলবার, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ৬টি বোমা ও ৬টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয় ।
পুলিশ আহত কেতুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আওয়ালিয়ার রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীবের জানান, কেতুর বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরআর