বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেতুর ৪০ নম্বর পিলারের কাছে একটি পরিবহন আরেকটি পরিবহনকে ধাক্কা দেয়। এরপরে একে একে ১৩টি পরিবহন এক অপরের পেছনে ধাক্কা খায়।
পরে সেতু কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিবহনগুলো সরিয়ে নিলে যান চলাচল সচল হয়।
তবে দুপুর ১২টাও টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকার কোনো কোনো জায়গায় যানবাহনের ধীরগতির খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই সেতুর দু’পাড়ে টোল আদায় বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ২টা থেকে ৪টা ও শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সেতুর দু’পাড়ে টোল আদায় বন্ধ থাকে।
ফলে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পরিবহন আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর দু’পাড়ের টোলপ্লাজায় টোল আদায় শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় সেতুতে টোল আদায়ে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কমিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)।
পরে দুর্ঘটনায় কবলিত পরিবহনগুলো সেতু কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারের পর পুনরায় সেতুতে টোল আদায় শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
আরবি/