ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রী লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বরগুনা ও মুন্সীগঞ্জ: ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ মানিক-৯ এর সঙ্গে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি ঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পরে অন্য লঞ্চে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন তারা।

সংঘর্ষে লঞ্চটি বাল্কহেডের ওপর উঠে গেলে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর এমভি মানিক-১ লঞ্চে দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ ও বাল্কহেডটি নদীর তীরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কারো নিখোঁজ ও আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী এমভি মানিক-৯ এর সঙ্গে সদরঘাটগামী বালুবাহী এমভি শরিফুদ্দিন-২ বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এরপর লঞ্চটি বাল্কহেডের ওপর উঠে যায়। নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় যাত্রীদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

লঞ্চের যাত্রী মো. আশ্রাফুল ইসলাম লিটন ও জালাল আহম্মেদ জানান, ঢাকার সদরঘাট থেকে বিকেল সাড়ে ৫টায় দুই হাজারের বেশি যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি ঘাট ছেড়ে কিছু পথ যাওয়ার পর মানিক লঞ্চটি চলন্ত অবস্থায় বালির বাল্কহেডের ওপরে উঠিয়ে দেয়। ফলে বাল্কহেডটি লঞ্চের নিচে চলে যায়।

লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অদক্ষতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন আতঙ্কিত যাত্রীরা।

মানিক লঞ্চের পরিদর্শক মো. দুলাল বলেন, বাল্কহেডটি আড়াআড়িভাবে থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

হাজি হেলাল উদ্দিন শিপিং লাইন্সের এমভি শরীফ উদ্দিন-২ বাল্কহেডের সুকানি মো. রাসেল বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি সঠিক পথে ছিল। লঞ্চটি রং সাইডে এসে বাল্কহেডের ওপর উঠিয়ে দিয়েছে’।

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি নদীর কিনারে আনা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাতের বেলা অবৈধভাবে বাল্কহেড চলাচল করায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
 
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটির তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।