ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মধ্যরাতে ঝকঝকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন!

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
মধ্যরাতে ঝকঝকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন! ঢাকা বিমান বন্দর রেলস্টেশন। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রাজধানীর বিমান বন্দর রেলস্টেশনের মূল প্রবেশ পথে শুয়ে রয়েছে নগরীর ঘরহীন বেশ কয়েকজন ভাসমান নারী-পুরুষ। ঝকঝকে করছে পুরো প্লাটফর্ম। ময়লা-আবর্জনা তো দূরে থাক কোথাও এক টুকরো কাগজ পড়ে নেই। এমনকি রেললাইনেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নেই হকারদের দৌরাত্ম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে শুয়ে রয়েছে সকালের যাত্রীরা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা বিমান বন্দর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেলো এমন পরিষ্কর-পরিচ্ছন্ন চমৎকার দৃশ্য।  

রাজধানীর ব্যস্ততম এই রেল স্টেশনেরর প্লাটফরম ও পার্কিং খুবই পরিচ্ছন্ন।

প্লাটফরমে নেই অযাচিত কোনো খাবারের দোকান। দিনের বেলা গিজগিজ করতে থাকা স্টেশনটি রাতে একবারেই নিরব। মধ্যরাতে দুই একটি ট্রেনের যাতায়ত করতে দেখা যায়।  

পান বিড়ির ছোট্ট দোকান নিয়ে বসেছেন আনিস আলী। তিনি বাংলানিউজকে জানালেন, দিনের বেলাও রেলস্টেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। বেশি যাত্রীর চাপে হয়ত একটু নোংড়া দেখায়। তবে রাতে তিন থেকে চার বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ।

সকাল সাড়ে ৭টায় সৌদি আবরে যাবেন মোমেনা বেগম। এয়ারপোর্টের ভিতরে স্বজনদের যেতে দিবে না বলে রেলস্টেশনে বসে রয়েছেন। নিরিবিলি বসে স্বজনদের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার আগ মুহুর্তে কথা সেরে নিচ্ছেন।
ঢাকা বিমান বন্দর রেলস্টেশন।  ছবি: জিএম মুজিবুর
মোমেনা বেগম বাংনিউজকে বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রথম যখন সৌদি যাই, এই রেলস্টেশনে আসছিলাম। খুব খারাপ অবস্থা ছিলো। এখন অনেক উন্নতি করেছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বেশ। বিমানবন্দরে আত্মীয়দের ঢুকতে দিবে না বলে এখানে বসে আছি।
 
বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ মো. ওমর বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের সহযোগীতায় পরিচ্ছন্নকর্মীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নের কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। দিন-রাত পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোথাও ময়লা জমতে দেওয়া হয় না। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিন রাখা হয়েছে।  

প্রবেশ পথ, প্লাটফরম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেও রেল স্টেশনের সামনে ময়লা আবর্জনা স্তুপ জমে থাকতে দেখা যায়। সামনের দিকটা পরিষ্কার রাখা চেষ্টা করছি, কিন্তু মানুষের অসচেতনতার কারণে মাঝে নোংড়ার হয়ে থাকে বলে জানান ওমর।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এমসি/জেআইএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।