যা শেষ হচ্ছে না তিন মাসেও। লালমাটিয়া ডি ও ই ব্লকের কয়েক হাজার বাসিন্দারা এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর ডি-ব্লকের মাঠে খেলছে একদল তরুণ। লালমাটিয়া স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী নাঈম জানায়, মাঠে আসতে ই-ব্লক পেরিয়ে ডি-ব্লক দিয়ে ঢুকতে হয়েছে তাদের। ডি-ব্লকের রাস্তা কাটায় তাদের এই ভোগান্তি। ডি-ব্লকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি নিয়ে আর বাসায় ঢুকতে পারেন না তারা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে কারও কারও গাড়ি বাসার ভেতরেই রয়েছে। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বাসা থেকে গাড়ি বের করা যায় না।
সরেজমিনে ঘুরে আরও দেখা গেছে, নূরজাহান রোডে ঢুকেই বামে প্রাইমারি স্কুলের পরের গলি পুরোপুরি কাটা। আবার আড়ংয়ের পেছনের রাস্তা পেরিয়ে ধানমন্ডি ২৭-এ যাওয়ার আগে মাদার কেয়ার হাসপাতালের গলির রাস্তাও ভাঙাচোরা। ধানমন্ডি আড়ং-এর পেছনের গলিপথের পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। বেহাল এ রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না দিনের পর দিন।
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্থানীয় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজানকে কয়েকবার কল দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রাস্তা খননের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বি প্রোপার্টিজ।
তবে পরিকল্পিতভাবে কাজ না করায় আশপাশের মানুষের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। অনেকের বাসার সামনে এমনভাবে কাটা যে বেরিয়ে বিকল্প সড়কেও যাওয়ার উপায় নেই।
ই-ব্লকের বাসিন্দা মুনতাসিম মাসুম বাংলানিউজকে জানান, ই ও ডি ব্লকের মাঝখানের দুটি সড়ক এমনভাবে কাটা হয়েছে যে এসব সড়ক কেউ আর ব্যবহার করতে পারছে না। কিছু জায়গা ছেড়ে কাটলে মানুষ অন্তত সড়ক দুটি ব্যবহার করে প্রধান সড়কে গিয়ে উঠতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এসএ/আরআর