ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেষ সূর্যের দেখা মেলেনি কক্সবাজার সৈকতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
শেষ সূর্যের দেখা মেলেনি কক্সবাজার সৈকতে বিদায়ী বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকরা

কক্সবাজার: রোববার সকাল থেকেই কুয়াশায় ঘেরা চারপাশ। সকাল গড়িয়ে বিকেলেও আকাশ ছিলো মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন। সঙ্গে হিমেল হাওয়া। তারপরও বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানাতে ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসতে থাকেন পর্যটকরা।

সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া না গেলেও সূর্যাস্ত দেখতে বিকেল বেলায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিণত হয় জনসমুদ্রে। সন্ধ্যা যতই ঘনিয়ে আসছিল লাখো পর্যটকের দৃষ্টি ততই পশ্চিমাকাশে সূর্যের খোঁজ করছিল।

 

দূর সাগরের নীল জলরাশির উপর অপলক নয়নে তাকিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত সূর্যের দেখা পায়নি পাঁচ লক্ষাধিক পর্যটক। বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে না পাওয়ায় কিছুটা হতাশায় কাটে পর্যটকদের বছরের শেষ সন্ধ্যা। তবে সেই বিষাদ ভুলে যেতে দলবদ্ধভাবে গান গেয়ে, নোনা জলে গা ভাসিয়ে, নিজেদের মধ্যে খুনসুটি আর আড্ডায় মত্ত ছিলেন তারা।

বিকেল সাড়ে ৪টায় সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, লাবনি পয়েন্ট, ডায়বেটিকস পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টসহ  পুরো সৈকত লোকে-লোকারণ্য। সবাই অধীর আগ্রহে বালুচরে দাঁড়িয়ে আছেন সূর্যের প্রতীক্ষায়।

দিনাজপুরের মীম জান্নাত বলেন, সবুজ পাহাড়ের মাথার উপর দিয়ে লাল সূর্যের উদয় আর নীলজলে লাল টকটকে সূর্যের অস্ত যাওয়া দেখতেই পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ছুটে আসা। কিন্তু কুয়াশাচ্ছান্ন আকাশের কারণে সূর্যাস্ত দেখতে পেলাম না বলে মনটা খারাপ। নতুন সূর্যকে বরণ করতে না পারলে মন আরও খারাপ হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিন আলম চৌধুরী বলেন,  একদিকে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানাতে পারিনি, অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজনই রাখেনি স্থানীয় প্রশাসন। এবার কক্সবাজার আসাটাই বৃথা। আগামীবার অন্য কোথাও যাব।

এ বিষয়ে ঢাকা থেকে আগত সুমাইয়া শারমিন বলেন, শেষ সূর্যাস্ত দেখতে পেলাম না। পর্যটন শহরে থার্টি ফার্স্ট উদযাপনের জন্য ওপেন কনসার্ট কিংবা কোন উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। এতে একটু কষ্ট পেয়েছি। তবে সেই কষ্ট পুষিয়ে দিয়েছে এই বিশাল সমুদ্র, উঁচু উঁচু পাহাড় আর এখানকার মানুষের আতিথেয়তা। সুযোগ পেলে এমন পরিবেশে আমি বারবার আসতে চাই।  

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে পাঁচ লাখ পর্যটক এসেছেন। তবে উৎসবের অনুমতি না থাকায় তাদের বিনোদনের জন্য কিছুই করা সম্ভব হয়নি। তাই আগামী বছর এর মাশুল গুণতে হবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আউটডোর উৎসবে অনুমতি শুধু কক্সবাজার নয়, সারাদেশেই নেই। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, দেখুন আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছি। তাদের নিরাপত্তায় কলাতলী থেকে সমুদ্র সৈকত ৬ টি তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশসহ জেলা পুলিশের ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এমজেএফ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।