রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির হয়ে তারা জামিন আবেদন করলে বিচারক পলি আফরোজ তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বছরের ২ মার্চ বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার হাসিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা মামলায় এ আদেশ দেন আদালত।
এরা হলেন- ঢাকা উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ডিএমডি মো. জাকির হোসেন, রিকভারি অফিসার হারুন আর রশিদ ও ভিজিটিং অফিসার মো. বরকত হোসেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী উৎসব কুমার বৈরাগী জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট কিস্তি চুক্তির মাধ্যমে ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মিনি ট্রাক ক্রয় করেন। ট্রাক বাবদ নগদ ৪ লাখ ৯০ হাজার ডাউন পেমেন্ট করেন তিনি। বাকি ১৬ লাখ টাকা ৪ বছর ধরে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধের চুক্তি হয়। কিছুদিন গাড়িটি পরিচালনার পর ঢাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এসময় হাসিবুর বেশ কয়েক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও কারাগারবাস করেন।
কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন এবং বীমা কোম্পানির কাছে বীমার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
গাড়িটির কাগজপত্র ঢাকা উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের নামে থাকায় বীমার টাকা তারা তুলে নেয়। এসময় তিনি গাড়ির মালিকানা ও বীমার টাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালত কর্তৃক তদন্ত করে তাকে গাড়ির মালিক বলে স্বীকৃতি দেয়। তখন ঢাকা উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কর্মকর্তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নতুন করে তার কাছে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ভুয়া ৩০ লাখ টাকার চুক্তিনামা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী হাসিবুর রহমান বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমি আদালতে মামলা করি। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। দ্রুত আমার গাড়ি ও বীমার টাকা ফেরত চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
আরবি/