রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগ থেকেই রাজধানীজুড়ে পুলিশ, র্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক টহল চোখে পড়ে। সন্ধ্যার পর রাজধানীর আকাশে চক্কর দিতে দেখা যায় হেলিকপ্টার।
গুলশান এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজি) কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। এসময় গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কর্নেল আনোয়ার লতিফ। তিনি জানান, সার্চ লাইট নিয়ে হেলিকপ্টার টহল দেওয়া হচ্ছে। আকাশে কুয়াশা থাকলেও এই সার্চ লাইট দিয়ে নিচে স্পষ্ট দেখা যাবে।
মূলত বাড়ির ছাদ ও রাস্তাঘাটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই হেলিকপ্টার টহল চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান বলেন, অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে করছে র্যাব। সম্ভাব্য সব ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে র্যাব কাজ করছে। টহলের পাশাপাশি র্যাবের গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে। রাস্তায় ইভটিজিংসহ অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে র্যাব সর্তক রয়েছে।
প্রশাসনিক নির্দেশনা অনুযায়ী, থার্টিফার্স্টে রাত ৮টার পর থেকে বাইরের কোনো গাড়ি গুলশান এলাকায় ঢুকতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনা প্রবেশেও। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৮টার আগে গুলশানের বাসিন্দাদের নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে হবে।
এদিকে, থার্টিফার্স্ট উদযাপনকে কেন্দ্র করে গুলশান এলাকার প্রবেশ মুখগুলোতে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। কারও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই পদক্ষেপে অনেকে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এমইউএম/এজেডএস/এসই/এইচএ/