খানা-খন্দে ভরা সড়কই এর মূল কারণ বলে মনে করছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টরা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালে কুষ্টিয়ায় শিশু, স্কুলছাত্রসহ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে- জানুয়ারিতে নিহত হয় ১১ জন, আহত হয় ১৩৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে নিহত হয় ৮ জন, আহত হয় ১৪২ জন, মার্চে নিহত হয় ১৫ জন, আহত হয় ১৫৮ জন, এপ্রিলে নিহত হয় ২জন, আহত হয় ১৩১ জন, মে-তে নিহত হয় ৪জন, আহত হয় ১১০ জন, জুনে নিহত হয় ৭ জন, আহত হয় ৭৭ জন, জুলাইতে নিহত হয় ২ জন, আহত হয় ৫৪ জন, সেপ্টেম্বরে নিহত হয় ৯ জন, আহত হয় ১০১ জন, অক্টোবরে নিহত হয় ৫ জন, আহত হয় ৬৭ জন, নভেম্বরে নিহত হয় ৩ জন, আহত হয় ১১৮ জন, ডিসেম্বর নিহত হয় ৫ জন, আহত হয় শতাধিক।
তবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু, স্কুলছাত্রসহ ৮৩ জন নিহত হয়েছে।
২০১৬ সালে কুষ্টিয়া জেলায় বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ জন নিহত হয়। আহত হয় ১ হাজার ৬২৬ জন।
কুষ্টিয়া জেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র সদস্য মীর জাহিদ বাংলানিউজকে জানান, কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ওভার ট্র্যাকিং আর বিশেষ করে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যুর জন্য খানা খন্দে ভরা সড়ককেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ