মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১৫শ’ মেট্রিক টন সার তীর এলাকায় মজুদ রয়েছে। এর আগে দুইটি জাহাজে করে প্রায় ৪ হাজার বস্তা সার পাচার করা হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় একমাস ধরে মেঘনা পাড়ে অবৈধ টিএসপি সার শুকানো হচ্ছে। শুকিয়ে ঝরঝরে করে জাহাজের মাধ্যমে তা পাচার করা হয়। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন শ্রমিক সার শুকানোর কাজ করছেন। এছাড়া শ্রমিকদের দিনপ্রতি ৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী আলমগীর মোল্লা, নুরুল ইসলাম ও রব মাঝির হয়ে তারা এখানে কাজ করছেন। কিন্তু কে বা কারা এ সার পাচার করছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না তারা।
তবে ভোলার বাসিন্দা কাঞ্চন নামে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী এসব সার পাচারের মূলহোতা বলে সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কাঞ্চন মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, সার বোঝাই একটি জাহাজ সাগরে পতিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এ জাহাজ থেকে সারগুলো নদীর তীরে এনে মজুদ করা হয়। এসব সার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
তবে বিপুল পরিমাণের এ সার ব্যক্তিগত এমন কি কাজে ব্যবহার হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় কৃষকদের ধারণা মজুদ করা এ সার মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী। অথচ এ সার প্যাকেট করে বাজারে বিক্রির জন্য নদীপথে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাংলানিউজকে বলেন, সার পাচার ও মজুদের বিষয়টি আমার আগে জানা ছিল না। একটি উপজেলার জন্য এতো সার বরাদ্দ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে র্যাব ১১-এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
টিএ/