মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি ইউনিয়নে নিজ গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় সোনিয়ার পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৭ ডিসেম্বর সকালে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরে নিজ ঘরে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করে স্কুলছাত্রী সোনিয়া।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে স্বজনরা তার গ্রামের বাড়িতে সোনিয়ার মরদেহ নিয়ে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সোনিয়া চরাদি ইউনিয়নের মধ্য চরাদি গ্রামের নওয়াব আলী খান বাড়ির বাসিন্দা দুলাল খানের ছোট মেয়ে। সে বরিশাল শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
সোনিয়ার বরাত দিয়ে তার বড়বোন সুরাইয়া আক্তার জানান, তার বাবা দিন মজুরের কাজ করেন। ঘটনার দিন সকালে তাদের বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সময় সোনিয়াকে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী পান্না খানের ছেলে আসাদ খান তাকে ডিম ভেজে দেওয়ার জন্য বলে। সোনিয়া ডিম পাঠিয়ে দিতে বললে আসাদ ঘরে আসতে বলেন। ঘরে ঢোকার পরে আসাদ তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।
সোনিয়ার কান্না শুনে চাদনী নামে অপর এক মাদরাসার ছাত্রী ঘরের পাশে গেলে আসাদের ছোট ভাই ঘরের দরজা খুলে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় দরজা খোলা পেয়ে সোনিয়া পালিয়ে এসে নিজ ঘরের দরজা লাগিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়দের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলে তারা পালিয়ে যান। সকালে পুলিশের উপস্থিতে স্কুলছাত্রীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোনিয়ার পরিবারের পক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বরেও জানান ওসি মাসুদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/