ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দফতর বণ্টন বুধবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৮
নতুন চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দফতর বণ্টন বুধবার শপথ বাক্য পাঠ করছেন নতুন তিন মন্ত্রী। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: নতুন বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়লো। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গভবনে তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে তাদের কে কোন দফতর পাচ্ছেন- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, বুধবার (৩ জানুয়ারি) নতুন চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দফতর বণ্টন করা হবে।

 

সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, শপথ নেওয়া চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

আর রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী কেরামত আলীকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়ালেও মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  

যোগাযোগ করা হলে একেএম শাহজাহান কামাল বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কোনো কাগজ পাইনি। আগামী একবছর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।  এলাকা এবং মন্ত্রণালয় স্বাভাবিকভাবে সামলানোর চেষ্টা করবো।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হয়। তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসিকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়।  

আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিম ও লালমনিরহাট-২ এর সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ।
 
আর ওই বছরের ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দফতরবিহীন করা হয়। পরে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী করা হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে।
 
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মারা যান। এরপর ২০১৬ সালের ১৯ জুন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নুরুজ্জামান আহমেদ।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ওই বছরের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়।  

তখন অধিকাংশ পুরনো মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ও আগের সরকারের সময় দলের বাদ পড়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়।  

ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় আবুল হোসেন মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।  

হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ২০১৪ বছরের ১২ অক্টোবর আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে অপসারিত হন।  

নতুন শপথ নেওয়া চারজনসহ বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩৩ জন মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ দূত ও পাঁচজন উপদেষ্টা, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী রয়েছেন।

**শপথ নিলেন চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮/আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এসএম/আরআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।