বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) অফিস করেছেন। দফতরে আসছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সকাল পৌন ১০টায় বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও এ মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল মন্ত্রণালয়ে আসেন। তারানার জন্য ‘৮০১’
এসময় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীন দফতর-সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত ও পুরনো মন্ত্রীকে বিদায় জানানো হয়। পরে নতুন মন্ত্রীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মেনন।
একজন অতিরিক্ত সচিব অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং কর্মকর্তাদের সামনে নতুন মন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয় পর্ব শেষ হলে মন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেন, আমাকে পরিচয় করিয়ে দেবেন না। সঙ্গে সঙ্গে বিদায়ী মন্ত্রী মেনন বলেন, আপনাকে আমি পরিচয় করিয়ে দেবো।
রাশেদ খান মেনন বক্তব্যের শুরুতেই নতুন মন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, তিনি অনেক পুরনো ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা। সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে সংসদে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আমি আশা করি ওনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ মন্ত্রণালয়ে আমরা যে গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছি তা অব্যাহত থাকবে এবং এগিয়ে যাবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাদের নতুন মন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
নতুন মন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তিনি বিদায় নিচ্ছেন কিন্তু আমি তাকে বিদায় দিতে চাই না। আমি মনে করি, মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনায় তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, কাজ করতে গিয়ে আমি যদি কখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই ওনার শরণাপন্ন হবো এবং সহযোগিতা পাবো বলে প্রত্যাশা করি।
শাহজাহান কামাল বলেন, আমি নতুন, ওনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম, আমার আরও অনেক জানার বাকি আছে। আমাকে অনেক শিখতে হবে। আমার সময় খুবই কম, মাত্র নয় মাস বা তারও কম। আমাকে আপনারা সহযোগিতা করেন, আমি বিমানকে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবো।
এরপর রাশেদ খান মেনন নতুন বিমানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার দফতরে প্রবেশ করে মন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বিদায় নেন।
এদিকে, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার মতবিনিময়ের সূচি রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নারায়ণ চন্দ্র চন্দ দফতরে আসেননি। চিকিৎসার জন্য আগে থেকেই তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিলো। বুধবারই সেখানে গেছেন। আগামী রোববার তিনি অফিস করবেন বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
দফতর বদল হয়ে আসা নতুন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বেলা একটা পর্যন্ত দফতরে আসেননি। টাঙ্গাইলে পানি মন্ত্রীর একটি কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা গেছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী সচিবালয়ে আসেননি। তিনি সকালে ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় রওনা হন। দুপুরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে। আগামী রোববার (৮ জানুয়ারি) তিনি দফতরে বসবেন বলে তার ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন।
দফতর বদল হয়ে আসা তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমও এদিন সচিবালয়ে আসেননি। তথ্য মন্ত্রণালয়ে তার দফতর প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসকে/এমআইএইচ/এসএম/এসএ/জেডএস