বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) যোহরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
যমুনার পাড়ে চায়না ক্রসবার-৩ বাঁধের দক্ষিণ পাশে জেগে ওঠা বিশাল চরে অনুষ্ঠিত ইজতেমায় সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার ছাড়াও বগুড়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নাটোর ও পাবনা জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়া এ ইজতেমায় মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। গতবারের চেয়ে দিগুণ পরিসরে ইজতেমার স্থল প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পয়ো নিষ্কাশন, সুপেয় পানির ব্যবস্থাও রয়েছে ইজতেমা ময়দানে।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি একাধিক মেডিকেল টিম মুসুল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহও করা হচ্ছে।
বেলকুচি থেকে আসা মুসল্লি ইউসুফ আলী, পাবনার বেড়া থেকে আসা খোরশেদ ও জব্বার, নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে আসা সোলায়মান, আজগর আলীসহ অনেক মুসল্লিরা বলেন, এখানকার পরিবেশ বড়ই সুন্দর। গত বছর এখানে অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কারণে এবারো আমরা এখানে এসেছি।
মুসুল্লিরা বলেন, নদীর তীরে বিশাল মাঠে ইজতেমার আয়োজন করায় মানুষের ভোগান্তি কম হয়। গোসল ও ওযুর পানিরও কোনো সমস্যা নেই। এছাড়া এ বছর আরো বেশি জায়গা জুড়ে আয়োজন করায় আসা মুসুল্লিদের জন্য সুবিধা হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তাবলিগ জামাতের সিরাজগঞ্জ জেলার আমির মাওলানা মো. আব্দুর রশিদ জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মুসল্লিদের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। এ কারণে আয়তনও করা হয়েছে দিগুণ।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, মুসুল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় ৫ শতাধিক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ইজতেমা ময়দান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
আরবি/