ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলানিউজের সংবাদে শহীদ কবিরের স্ত্রীর পাশে প্রশাসন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৮
বাংলানিউজের সংবাদে শহীদ কবিরের স্ত্রীর পাশে প্রশাসন শহীদ কবিরের বৃদ্ধা স্ত্রী আলমাস খাতুনকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন ইউএনও মো. নোমান হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ কবিরাজ কবির আহম্মদের বৃদ্ধা স্ত্রী আলমাস খাতুনের জীবন-যাপনের দুর্দশা নিয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র ও জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) আলমাসকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় বৃদ্ধা আলমাসকে সালাম করে নিজের পাশে বসিয়ে খোঁজখবর নেন ইউএনও মো. নোমান হোসেন।

শহীদ পত্নীর খোঁজখবর নিয়ে তার বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

ইউএনও নোমান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কক্সবাজারের শহীদ কবিরের স্ত্রী আলমাস খাতুনকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সম্মাননা দিতে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেষ্ট রয়েছি। তিনি যেন অর্থনৈতিকভাবে কষ্টে না পড়েন, সেজন্য আমরা তার বিশেষ খোঁজখবর নিয়ে যাবো।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, এমন একজন মা, এমন একজন শহীদ পত্নী আমার পৌরসভায় রয়েছে, এটা আমি জানতাম না। এরজন্য আমি অনুতপ্ত। কিন্তু বাংলানিউজের প্রতিবেদনের পর আমি সেই বৃদ্ধা নারীর খোঁজখবর নিয়েছি। তাকে বয়স্ক ভাতার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি এই মাস থেকেই তিনি বয়স্ক ভাতা পাবেন।

শহীদ কবিরের স্ত্রী আলমাস খাতুনকে পাশে বসিয়ে খোঁজখবর নেন ইউএনও মো. নোমান হোসেন।  ছবি: বাংলানিউজজেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, বাংলানিউজের সংবাদটি পরে শহীদ পত্নীর খবরাখবর নেওয়া হয়। আমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাকে বলেছি, তার কোনো সমস্যা হলেই আমার সঙ্গে দেখা করতে। তার যে কোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলানিউজে প্রকাশিত হয় ‘মালা গেঁথে সংসার চলে শহীদ কবিরের বৃদ্ধা স্ত্রীর’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি। সেখানে তুলে ধরা হয় বৃদ্ধা আলমাস খাতুনের জীবন যাপনের দুর্দশার করুণ চিত্র।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, ১৯৭২ সালে ওই নারীকে শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে দুই হাজার টাকা অনুদান ও স্বহস্তে লিখিত একটি চিঠি দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর থেকে আর কোনো সরকার তার কোনো খবর নেয়নি। তাই এই দীর্ঘ সময়ে মালা গেঁথে সংসার চালাচ্ছিলেন জীর্ণ-শীর্ণ শরীরের ৭০ বছর বয়সী আলমাস।

বাংলানিউজের প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া আলমাস খাতুন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামী শহীদ হওয়ার পর থেকে অনেক কষ্ট সয়েছি। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া একটি সমবেদনা পত্র ও ২ হাজার টাকা ছাড়া আর কিছুই পাইনি। কিন্তু আমি এখন সেই ব্যথা ভুলে গেছি। সান্ত্বনা ও সম্মান পেয়েছি। আমার আর কিছুরই দরকার নেই।

**সেই ১১ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন কক্সবাজারের পৌর মেয়র

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।