ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টার্মিনালে নেই কাঙ্ক্ষিত সেবা, বাড়লো ট্যাক্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
টার্মিনালে নেই কাঙ্ক্ষিত সেবা, বাড়লো ট্যাক্স বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে পাসপোর্টধারী যাত্রীসেবা কার্যক্রম চালু হয়নি এখনও। সেবার মানের দিকে খেয়াল না থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ বছর না ঘুরতেই ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়িয়েছে। বাড়তি টাকা গুণতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন যাত্রীরা।

যাত্রীরা বলছেন, সেবা না দিয়ে যাত্রীদের গলা কাটছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবা চালুর জন্য টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

জানা গেছে, সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা আর ভালো চিকিৎসাসেবার আশায় এ পথে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত অন্য বন্দরের চেয়ে বেশি। গত ৫ বছরে এ পথে যাত্রীদের যাতায়াত বেড়েছে ৩ গুণ। বর্তমানে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার দেশি-বিদেশি যাত্রী যাতায়াত করছেন। যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে এক কিলোমিটার দূরে বেনাপোল বাজারে গিয়ে বাসের টিকিট ও ক্যান্টিনসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়রানিতে পড়তে হতো।

যাত্রীদের হয়রানি রোধ ও সেবার মান বাড়াতে বেনাপোল চেকপোস্টে সরকার আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন তৈরি করে। এখানে এক ছাদের নিচে ৩৮ টাকা ৭৬ পয়সা ট্যাক্স পরিশোধ করে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, ব্যাংক, খাবারের ক্যান্টিনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকার কথা। গত বছরের ২ জুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করা হয়। এদিন থেকে শুধু বাথরুম সুবিধা চালু করে যাত্রীদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।  

এরইমধ্যে আবার নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই ট্যাক্স বাড়িয়ে ৪০ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। টাকা খুচরো না থাকার কথা বলে যাত্রীদের কাছ থেকে ৪২ টাকা হারে ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট ট্যাক্স ছাড়াও বাড়তি আদায় হচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা।  

আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই ভবনে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও সোনালী ব্যাংকের বুথ থাকার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি। এছাড়া পরিবহন কাউন্টার ও খাবারের ক্যান্টিন চালু নেই। যাত্রীদের ব্যাগ বহনের জন্য ট্রলি থাকার নিয়ম থাকলেও তা এসে পৌঁছায়নি। নেই পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা। এতে যাত্রীরা অযথা এ ভবনে গিয়ে বাড়তি ট্যাক্স দিচ্ছেন।

ভারতে ভ্রমণকারী যাত্রী অনিমেষ বাংলানিউজকে বলেন, একবার সরকারকে ভ্রমণ কর ৫১০ টাকা দিচ্ছি। আবার প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ৪২ টাকা ট্যাক্স নিলো। কোনো সুবিধা নেই টার্মিনালে কেন টাকা দিলাম বুঝলাম না।
  
ভারতগামী যাত্রী আসাদুজ্জামান খোকন বলেন, সেবা কার্যক্রম চালু না করে টাকা আদায় অযৌক্তিক। গত এক বছরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা দিতে পারেনি অথচ আবার ট্যাক্স বাড়িয়েছে। এতে বাইরের দেশের মানুষের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার।  

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এসব সেবা নিশ্চিত হবে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি তার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।