ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোস্টার, ব্যানারের নগরীতে ফিরছে রাজধানী!

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
পোস্টার, ব্যানারের নগরীতে ফিরছে রাজধানী! পোস্টার, ব্যানারের নগরীতে ফিরছে রাজধানী!

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ও দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলেন। সে উদ্যোগের ফলে বেশকিছু সময় ঢাকা শহর পোস্টার, ফেস্টুনমুক্তই ছিলো। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে আবার ধীরে ধীরে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে যাচ্ছে মহনগরীর বিভিন্ন এলাকা।
 

তবে কি ফের পুরনো চেহারায় ফিরবে ঢাকা মহানগর? এমন প্রশ্ন নগরবাসীর মনে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে দেয়াল ‍লিখন ও পোস্টার এখন প্রায় সর্বত্রই চোখে পড়ে।

যা আগে প্রায় ‘বিলুপ্তি’র পথে ছিলো। মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর কিছুটা ঢিলেঢালাভাব দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কার্যক্রমে। ফলে নতুন করে পোস্টার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন চোখে পড়ছে নগরীতে।
 
নতুন বছরের শুরুতে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মী শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছেন। ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগ দলীয় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিকও বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার, ব্যানার টানিয়েছেন।
 পোস্টার, ব্যানারের নগরীতে ফিরছে রাজধানী!
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে পোস্টার করা হয়েছে। এভাবে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ফের পুরনো চেহারায় ফিরছে রাজধানী।

ফার্মগেট এলাকায় কথা হয় জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র আনিসুল হক যখন জীবিত ছিলেন তখন ঢাকা শহর অনেক পরিচ্ছন্ন ছিলো, তার মৃত্যুর পর যত্রতত্র নতুন করে পোস্টার, ব্যানার চোখে পড়ছে। ফের পুরনো অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে ঢাকা।
 
মহানগরী পোস্টার, ফেস্টুনমুক্ত রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলইডি বিলবোর্ডের ব্যবস্থা চালু করে। ডিএসসিসি এলাকায় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা চালু হলেও সেদিকে খুব বেশি একটা কাজে আসছে না। এখনো ডিজিটাল বিলবোর্ডের পাশাপাশি পোস্টার লাগানো চলছে।
 
এ বিষয়ে ডিএসসিসি’র অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানারবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। শুধু অভিযানই নয়, এখন অনেকের জেল, জরিমানা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অনেকগুলো কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আরো প্রায় ২০০ শতাধিক মামলা প্রস্তুত করা হয়েছে।
 পোস্টার, ব্যানারের নগরীতে ফিরছে রাজধানী!
তিনি বলেন, আইন থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক প্রয়োগ করা যায় না। যেমন সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যানার লাগানো হয়। তবে আমরা তা দ্রুত অপসারণ করে ফেলছি। এমনকি ডিএসসিসিভুক্ত নতুন ৯টি ইউনিয়নে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমোডর আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। অনেক সময় পুলিশ না পাওয়ায় অভিযানে যেতে পারি না। আমাদের চোখেও পড়েছে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে দেয়াল লিখন, পোস্টার, ফেস্টুন। আমরা চেষ্টা করছি রাজধানী পরিচ্ছন্ন রাখতে। ’
 
নির্বাচনী প্রার্থীদের পোস্টার সরানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনেরও নির্দেশনা রয়েছে। গত শুক্রবারের মধ্যে সব পোস্টার অপসারণ করার কথা থাকলেও এখনো কোথাও কোথাও পোস্টার রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।