ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদেশে নিজস্ব জমিতে নির্মিত হচ্ছে দূতাবাস 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
বিদেশে নিজস্ব জমিতে নির্মিত হচ্ছে দূতাবাস 

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজস্ব জায়গায় বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে পুরোদমে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ চলছে পাঁচটি দেশে। এলো হচ্ছে- সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও ভুটান।

দূতাবাস নির্মাণ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের এক কর্মকর্তা সোমবার (০৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটান সফরে গেলে দেশটি বাংলাদেশকে ১৫ বিঘা জমি দূতাবাস নির্মাণে উপহার হিসেবে দেয়।

সেখানে অচিরেই নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হবে। জায়গাটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করতে হবে প্রথমে।  
এছাড়া ২০১৬ সালের মে মাসে জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অত্যাধুনিক নকশার নতুন চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭১৪ বর্গফুট জায়গায় অত্যাধুনিক নকশায় চারতলা চ্যান্সেরি ভবনটি নির্মাণ করেছে জাপানেরই নির্মাণ সংস্থা ‘মোরামোতো করপোরেশন’। এর পরামর্শক ছিল কে পার্টনার্স আর্কিটেক্ট।

এছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনো দূতাবাসের ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে মন্ত্রণালয়। আশা করছি দূতাবাস নির্মাণের কাজ যেভাবে চলছে এবার সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করা যাবে। এর আগে সম্পূর্ণ টাকা খরচ করা যায়নি।  

টোকিওতে দূতাবাস ভবন নির্মাণে সব মিলিয়ে মোট ৮৮ কোটি টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সৌদি আরবের রিয়াদে ৭ হাজার ৯৫০ বর্গমিটার ও পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ২৫ হাজার বর্গমিটার জমি পারস্পরিক বিনিময়ের ভিত্তিতে পাওয়া গেছে।  

এরই মধ্যে সৌদি আরবের বিয়াদে দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। প্রায় ৪ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ ভবন।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। শেষ হতে ৬০ কোটি টাকা লাগতে পারে।

এদিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখন চলছে মাটি ভরাটের কাজ।  

মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এ ভবন নির্মাণে বাজেট ৫৭ কোটি টাকা। বিশাল এলাকাজুড়ে দ্বিতল এ চ্যান্সেরি ভবনটি হবে। এখানে হাইকমিশনার ছাড়াও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ভবন নির্মাণে ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় ভবন নির্মাণও প্রক্রিয়াধীন।  

মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, পুত্রজায়ায় ৩ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন রিংগিতে ৬ হাজার ১১৪ বর্গমিটার জায়গা কেনা হয়েছে। পুত্রজায়ায় এখনও কোনো দেশের দূতাবাসের স্থানান্তর হয়নি। তাই ধীরগতিতে চলছে কাজের গতি।

হিমালয়ের দেশ নেপালের কাঠমান্ডুতেও ১৩ কোটি টাকায় দূতাবাস ভবন নির্মাণের জমি কেনা হয়েছে। তবে এখানে দূতাবাস নির্মাণ নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। কারণ এরই মধ্যে এ জায়গার আশপাশে ঘনবসতি গড়ে ওঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
কেজেড/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।