ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফের বাড়ছে জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ফোর লেন নির্মাণের সময়

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
ফের বাড়ছে জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ফোর লেন নির্মাণের সময় জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ফোর লেনের একটি অংশে চলছে নির্মাণ কাজ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সড়কপথে মেহেরপুর থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। এ পথে ভ্রমণে ছয় ঘণ্টা সময় লাগার কথা থাকলেও ১২ ঘণ্টায়ও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। সড়কের বেশিরভাগ অংশ মসৃণ হলেও জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার ফোর লেন অংশের বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তাতে এ পথে সময় লাগছে দ্বিগুণ। 
 
 

আশার কোনো খবর নেই, বরং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের ভাবনার কারণ হলো, উন্নয়নে পরিকল্পনা কমিশনে এ মহাসড়কের ফোর লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আরও দু’বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। অর্থাৎ মহাসড়কটি ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগের পরিধি আরও এক ধাপ বাড়ছে।


 
৩ হাজার ৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদন হয়। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় ফোর লেন প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। একইসঙ্গে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৫ হাজার ৯৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
 
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়কের দু’পাশে এবং ‘মিডিয়ান’র নান্দনিকতা বৃদ্ধিতে সবুজায়ন করা হবে। স্লো-মুভিং যানবাহনের জন্য আলাদা লেনের কাজ এখনও বাকি। এসব কাজ শেষ করতেই প্রকল্পের সময় বাড়ছে।
 
জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ফোর লেনের একটি অংশে চলছে নির্মাণ কাজ।  ছবি: বাংলানিউজ
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক এবিএম ছের-তারজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ফোর লেনের কাজ আরও দু’বছর বাড়বে। আমাদের মূল কাজ চলতি বছরই শেষ হবে। তবে আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। স্লো-মুভিং গাড়ির জন্য আমরা একপাশে ৫০ কিলোমিটার নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু এখন উভয় পাশেই ৭০ কিলোমিটারজুড়ে স্লো-মুভিং যানবাহন লেন নির্মাণ করবো। আমরা সড়কটি আধুনিকমানে রূপ দেবো। যেন এ মহাসড়কে কখনও জটলা না থাকে। বাজারের কারণে যেন জটলা না হয় সেজন্য নির্মিত হবে ফ্লাইওভার।
 
তিনি আরও বলেন, পথচারীদের জন্য ১৩টি আন্ডারপাস নির্মিত হবে। এ কাজগুলো শেষ করতেই আমাদের আরও সময় দরকার। আশা করি পরবর্তীতে আর সময় লাগবে না।  
 
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্প এলাকায় ফ্লাইওভার, ব্রিজ, কালভার্টসহ নির্মাণ কাজ এখনও অধরা। সড়কের ওপরে ও পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় কোথাও সরু আবার কোথাও মাটি খোঁড়ার কারণে কাদামাটি ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এ মহাসড়কে যানবাহন ও সাধারণ পথচারীদের চলাচলে তৈরি হয়েছে দুর্ভোগ।
 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ৭০ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতেই বর্তমানে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। অথচ এ পথ পাড়ি দিতে যানবাহনের সময় লাগার কথা মোটে এক বা সোয়া ঘণ্টা। গাজীপুরের ভোগড়া, বাইপাস, কড্ডা বাজার, কোনাবাড়ি ও কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, সফিপুর বাজার, চন্দ্রা পল্লিবিদ্যুৎ, চন্দ্রা জোড়াপাম্প, চন্দ্রা-ত্রিমোড়, হরতকীতলা, খাড়াজোড়া, গোয়ালবাথান, সাহেববাজার, মির্জাপুরের গোড়াই, স্কয়ার, করটিয়া, নথখোলা, টাঙ্গাইল বাইপাস, এলেঙ্গা এলাকা- প্রত্যেকটি স্পট পেরোতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয় উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলোকে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।