শনিবার (২০ অক্টোবর) সকালে থেকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে আন্তঃজেলা ও আঞ্চলিক সড়কে যাতায়াতের অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
দুর্ভোগে পড়া নারী ও শিশুদের নিয়ে অনেককে টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান করতে দেখা যায়।
ঢাকার একটি সরকারি অফিসে কাজ করেন আলামিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন,সমাবেশের বিষয়টি জানতাম না। সকাল ১১টা থেকে বাসের অপেক্ষায় আছি।
গুলবাহার নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামী বেসরকারি একটি এনজিওতে চাকরি করেন। ছুটিতে নিজ বাড়ি ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বাসের জন্য বসে আছি।
গুলবাহারের মতো অসংখ্য মানুষ সিলেট কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এসে বেকায়দায় পড়েন। সরেজমিন দেখা গেছে, শ্রমিক সমাবেশের কারণে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে থেকে যাত্রী নিয়ে বাস সিলেটে এলেও যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ফিরে যায়নি। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি করে রাখা হয় বাসগুলো। সড়কে হালকা যানবাহন যাতে চলতে না পারে, সেজন্য বেশকিছু বাস রাস্তায় রাখা রয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশ শেষ হলে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যানবাহন ছেড়ে যায়।
এনিয়ে সিলেট বিভাগীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক সমাবেশের কারণে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি। শ্রমিকরা সাময়িক ভোগান্তির শিকার হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে দাবি আদায়ে আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির ঘোষণা আহ্বান করেছে শ্রমিক ফেডারেশন।
এসময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৯৬ ঘণ্টা কর্মবিরতিতে যাবেন শ্রমিকরা। এরপরও আইন বাতিল না হলে রাষ্ট্রের ভাল-মন্দ বিবেচনা না করে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট আহ্বান করা হবে। সমাবেশে এমন ঘোষণা দেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উছমান আলী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এনইউ/এপি/এএটি