শনিবার (২০ অক্টোবর) দিনগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ পুড়েছিল।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাবলু মোল্লা (৩৩) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়েছিল।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফরোজা আক্তার পূর্ণিমা (৩০) মারা যান। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে রোববার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পূর্ণিমার মা সুফিয়া বেগম (৫০) ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়ার হেলাল মার্কেট এলাকার একটি বাসায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ছয়জন মারা গেলেন। আরও দুইজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসাধীন দগ্ধরা হলেন- আঞ্জু আরা (২৫) ও আব্দুল্লাহ সৌরভ (৫)।
১৩ অক্টোবর ভোরে ব্যাপারিপাড়ার ১১০/এ-১ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় ওই অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন।
এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও আহত দগ্ধদের ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এজেডএস/আরআর