মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কচমচ এলাকায় স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এর আগে গত রোববার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে স্নোটেক্স কারখানার সরবরাহ করা খাবার খেয়ে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় তাদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষ, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শ্রমিক।
অসুস্থদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শতাধিক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৩৫০ জন এবং সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২শ’ জন শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও ওইদিন রাতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় অনেক শ্রমিকদের স্বজনেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করান।
স্নোটেক্স কারখানার প্রশাসনিক শাখার উপ-ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, অসুস্থ শ্রমিকদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসার সব ধরনের খরচ কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করছে।
বর্তমানে কারখানাটি চালু রয়েছে এবং শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে। ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, স্নোটেক্স কারখানায় খাদ্য বিষক্রিয়ায় শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ শ্রমিক স্বজন ও এলাকাবাসীরা কারখানার সামনে জড়ো হয়। এ সময় তারা জোরপূর্বক কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাদে বাঁধা দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু শ্রমিক এবং তাদের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। এছাড়া বর্তমানে কারখানাটি চালু রয়েছে এবং সুস্থ শ্রমিকরা ভেতরে প্রবেশ করে শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এএটি