মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক শেষে মিন্ট থোয়ে এ তথ্য জানান।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
‘আমরা শুধু নিরাপত্তা নয়, আনুষঙ্গিক বিষয় মাথায় রেখেই একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আগামী মাসের (নভেম্বর) মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গাদের একটা অংশ ফেরত নেওয়া হবে। ’
তবে কতোজনকে মিয়ানমার প্রথম ধাপে ফেরত নেবে, এ বিষয়ে কিছু বলেননি পররাষ্ট্র সচিব।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা রোহিঙ্গাদের ফেরতের বিষয়ে সেফটি ও সিকিউরিটি নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে নভেম্বরেই সেফটি ও সিকিউরিটির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরা শুরু হবে।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকটি হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক, আর মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে মিন্ট থোয়ের।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হলে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নে। এর আগে থেকেই ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে গত ৯ আগস্ট মিয়ানমার সফর করেন একটি প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধা, চলাফেরা ও জীবনযাত্রাসহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করে দলটি।
ওই সময় দেশটির রাজধানী নেপিদোয় এক বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রতিনিধিরা। তার সফরের পর ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
ইএআর/এইচএ/