মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, এমপি।
এসময় তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। তবে সময়ের সঙ্গে দুর্যোগের ধরন ও মাত্রা পরিবর্তন হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রত্যেক দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ক্ষয়ক্ষতি আরও কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশকে পরস্পরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ এম এ হাশিমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জানানো হয়, সম্মেলনে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া দুর্যোগ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব সংস্থাকেও আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার উদ্যোগে সিভিল-মিলিটারি সমন্বয়ের মাধ্যমে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে আরসিজি গঠন করা হয়। দুর্যোগে সাড়াদান কার্যক্রম বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা, শিক্ষণ, অনুশীলন ও তথ্য বিনিময় এ সংস্থার অন্যতম কাজ।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে ভূমিকম্প প্রস্তুতি, রোহিঙ্গা ইস্যু, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও প্রতিবন্ধিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে সদস্য দেশগুলোর অভিজ্ঞতা, অনুশীলন, শিক্ষণ ও তথ্য বিনিময় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এসই/আরআর