তিনি বলেছেন, এজন্য ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আধুনিকায়ন করা হবে। নগরের উন্নয়নে নেওয়া সব পদক্ষেপ যাতে পরিবেশবান্ধব হয়, সেজন্য দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে সিসিকের ডাম্পিং গ্রাউন্ড আধুনিকায়ন করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিটি করপোরেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিসিক মেয়র এসব কথা বলেন।
সিসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ বদরুল হকের সভাপতিত্বে ও কর কর্মকর্তা চন্দন দাশের পরিচালনায় পরামর্শ সভায়
তিনি বলেন, সিলেট নগরীকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। যেখানে অন্তর্ভুক্ত হবে পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে নগরীর প্রত্যেক সচেতন মানুষের পরামর্শ।
‘আর এ জন্যেই লালমাটিয়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ড কিভাবে আধুনিকায়ন করে গড়তে হবে, সেই লক্ষ্যে আজকের এই সভার আয়োজন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এখানে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হবে। এর কাজও শুরু হবে শিগগির। ’
আধুনিক এই ড্রাম্পিং গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে নগরীর সব বর্জ্যকে জৈবসারে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক।
সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সিসিকের এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্প উপদেষ্টা ড. এনামুল হক।
বক্তব্য রাখেন, প্রজেক্ট প্রতিনিধি এফএম শরিফ উদ্দিন, বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধি সাইফ উদ্দিন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক আজিজুল হক, শাবিপ্রবির সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এনইউ/এমএ