এ সময় তিনি কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবৈধভাবে নির্মাণাধীন যেকোনো ভবনই বিসিসি কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনে ভাঙার বিধান রয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা তাকে খুশি করার জন্য কোনো ভবন ভেঙে বিতর্ক সৃষ্টি করা যাবে না।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বর্মণ রোডের ওই ভবনটির ভেঙে ফেলা অংশ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। যা রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে বর্মণ রোডে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সহধর্মীনি লিপি আবদুল্লাহর পৈত্রিক জমির অংশে পাশের জমির মালিক অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক লিপি আবদুল্লাহর মা বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামালের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। বিসিসি কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা পেলেও তৎকালীণ মেয়র ভবনটির অবৈধ অংশ ভাঙার কোনো পদক্ষেপ নেননি।
এদিকে বর্তমান মেয়র শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের আগের দিন ভবনটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলে বিসিসি কর্তৃপক্ষ। ভবনটি ভাঙা সম্পর্কে বর্তমান মেয়রকে কোনো ধরনের তথ্য দেয়া বা অবহিত করা হয়নি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ
বর্মণ রোডের ওই ভবনটির ভেঙে ফেলা অংশ পরিদর্শন করেন।
ওই সময় মেয়র পুনরায় বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য বিসিসি’র সচিব, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর কহিনুর বেগমের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এমএস/আরবি/