তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন আছে, আপনাদের দোয়া চাই।
রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এই দোয়া চান।
কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে শুকরানা ক্রেস্ট তুলে দেন ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানানোর আগে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি ইচ্ছা করেন নিশ্চয়ই আবার জনগণের খেদমত করার সুযোগ আমাকে দেবেন। আর আল্লাহ যদি না চান দেবেন না, আমার কোনো আফসোস থাকবে না। আমি সবকিছু আল্লাহ ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু আল্লাহর কাছে এটুকু চাই, যেন মান-সম্মানের সঙ্গে যেতে পারি এবং মানুষের সেবা করে যেতে পারি। মানুষের কল্যাণ করে যেতে পারি।
ধর্ম অবমাননা করলে আইন দ্বারাই তার বিচার হবে
ধর্ম অবমাননাকারীদের কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম ও নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কেউ অবমাননাকর কথা বললে, আইন দ্বারাই তার বিচার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেবো না। আইনের মাধ্যমে বিচার করে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে যাতে কেউ কোনোভাবে অপপ্রচার চালাতে না পারে।
কওমি শিক্ষার্থীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। কাজেই এই অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না।
অপপ্রচার বন্ধে কঠোর আইনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচার বন্ধ করতে সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি মিথ্যা অপপ্রচার করে, সঙ্গে সঙ্গে সেই আইন দ্বারা তাদের বিচার করা হবে, গ্রেফতার করা হবে।
সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই পুনরুল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা সন্ত্রাসী তাদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের কোনো দেশ নেই, তাদের কোনো সমাজ নেই। তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী। সত্যিকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা তারা কখনো সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী হতে পারে না।
দুনিয়ার স্বার্থে কওমি স্বীকৃতি দেইনি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার স্বার্থের জন্য কওমির সনদের স্বীকৃতি দেইনি। আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য স্বীকৃতি দিয়েছি। আমরা চাই, দেশের আলেমরা সম্মান নিয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন কওমি স্বীকৃতির জন্য আমাকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা বলা হলো, আমি বলেছি সংবর্ধনা আমার জন্য না। আমরা কওমি সনদ দিতে পেরেছি এর জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা দরকার।
অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
****কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির জন্য কাজ করার আহ্বান
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমইউএম/এএ