রোববার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে শহরের টেগর লজ’র মুক্ত মঞ্চ চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, টেগর লজ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব কবি সৈয়দা হাবিবা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, টেগর লজ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি আলম আরা জুঁই, সহ সভাপতি খলিলুর রহমান মজু, সুন্দরম ললিতকলা একাডেমির সভাপতি কবি কনক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই ‘টেগর লজ’কে ঘিরে উন্মুক্ত পরিবেশে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার একটি বলয় গড়ে উঠেছে। এখানে নিয়মিত রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চাসহ নানা রকম সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ার এই বাড়িটি বর্তমানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রধান সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। অথচ হঠাৎ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে জানা যায়- সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ‘টেগর লজ’কে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিগ্রহণ করবে। এতে উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার পথ বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং চলমান সাংস্কৃতিক চর্চার আধার এই টেগর লজকে রক্ষার দাবি জানান।
টেগর লজ রক্ষার দাবিতে সমর্থন জানিয়ে সব সাংস্কৃতিক সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
আরএ