ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলে দেওয়া হলো গুলশান লেক-ড্রাইভ সড়ক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৮
খুলে দেওয়া হলো গুলশান লেক-ড্রাইভ সড়ক লেক-ড্রাইভ সড়ক উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: যানজটমুক্ত নগরী গড়তে আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলো বর্তমান সরকার। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকার যান চলাচল করতে লেক-ড্রাইভ সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে। 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) লেক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাড্ডা (হাতিরঝিল মোড়) থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকের পাড়ে বাড্ডা-শাহজাহাদপুর অংশে দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪০ কি.মি. ও লেক-ড্রাইভ সড়কের প্রস্থতা ৩০ ফুট। সড়কের দুই পাশে ওয়াকওয়ে রাখা হয়েছে।

এক পাশে লেকের প্রস্থতা ৬ ফুট এবং অপর পাশের প্রস্থতা ৩ ফুট। এছাড়া ওয়াকওয়ের উপর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যেন রাতে মানুষ ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাফেরা করতে পারেন।

রোববার (৪ নভেম্বর) হাতিরঝিল মোড়ে বাড্ডা থেকে বারিধারা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ লেক-ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। হাতিরঝিল প্রকল্পের অংশ হিসেবে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গুলশান-বানানী-বারিধারা লেক পুনঃখনন, লেক-ড্রাইভ নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

লেক রোডের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের শিগগিরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। যারা ইতোমধ্যে জমি ছেড়ে দিয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন এবং লেকের পানি ধারণক্ষমতা ও এলাকার নান্দনিকতা বাড়াতে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে গুলশান লেক দখলের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ লেক পরিচ্ছন্ন রাখায় রাজউকের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি এখানকার বাসিন্দাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ কাজ সুষ্ঠুভাবে না করা হলে লেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ’

মন্ত্রী এই লেক-ড্রাইভের কাজের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা স্মরণ করেন। প্রয়াত মেয়র এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করে ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার আগেই জায়গা খালি করে দিতে বাসিন্দাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।     

রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, গুলশান সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হক, গুলশান সোসাইটির বর্তমান সভাপতি শাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ এবং এ সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আনোয়ার হোসেন বীর প্রতীক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।