এদিকে ঘটনাটি জানার পর হারুনুর রশিদ বাংকু নামে এক বখাটেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্র জানায়, রিকশাচালকের কিশোরী মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ধলিয়া বাজার সংলগ্ন একটি বিউটি পার্লারে খণ্ডকালীন কাজ করে।
রোববার স্কুল থেকে পার্লারে যাওয়ার পথে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায় সোহেল, রাজু, হারুনুর রশিদসহ ৪ বখাটে। পরে অজ্ঞাত স্থানে পালাক্রমে গণধর্ষণ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে রেখে যায়।
স্থানীয় একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। রাতে নির্যাতিতাকে নিয়ে তার স্বজনরা শহরের মাস্টারপাড়ায় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে দেখা করে ঘটনাটি জানান।
তিনি তাৎক্ষণিক হারুনুর রশিদ বাংকুকে ডেকে নিয়ে মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করেন এবং এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
ধলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার আহম্মেদ মুন্সি জানান, তিনি ঘটনাটি শোনার পর মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় মেম্বারসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেছেন।
এছাড়া অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এমদাদুল হক সোহেলও একই কথা বলেন। তিনি জানান, বিকেলে ওই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে কয়েক জায়গায় খোঁজাখুজি করেছেন। নিজে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাজু মেয়েটিকে আটক করেছিল বলে শুনেছি।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ একজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এসএইচডি/আরএ